আরও দেখুন
মার্কিন স্টক ফিউচার: প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্টকের দরপতনের পর পুনরুদ্ধার এবং "দরপতনের সময় ক্রয়ের" কৌশল পরিলক্ষিত হচ্ছে। সোমবার প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর স্টকের বিক্রির পরে মঙ্গলবার মার্কিন শেয়ার ফিউচার সামান্য প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন, কারণ ট্রেডাররা ব্যাপক মূল্য হ্রাসে অ্যাসেট কেনার সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এই পদ্ধতি, যা "বাই দ্য ডিপ" বা দরপতনের সময় ক্রয় নামে পরিচিত, দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের আস্থাকে প্রতিফলিত করে।
সাম্প্রতিক অস্থিরতার সত্ত্বেও বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে মৌলিক সূচকগুলো এখনও শক্তিশালী। অনেক কোম্পানি এখনও স্থিতিশীল আয় এবং প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন পেশ করছে, যা স্টক এবং ফিউচারের চাহিদাকে সমর্থন করছে। ট্রেডাররা অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকেও ঘনিষ্ঠ নজর রাখছেন যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। আজ একটি উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে, যা আগামীকালের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
যাইহোক, মার্কেটে পুনরায় চাপ সৃষ্টির ঝুঁকি রয়ে গেছে, যা সোমবার পরিলক্ষিত ফিনটেক সেক্টরের কোম্পানিগুলোর স্টকের বিক্রিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ট্রেডারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন ডলার প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সোমবার সন্ধ্যায় শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে তামার দাম হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ট্রেজারি সেক্রেটারির প্রস্তাবিত 2.5%-এর তুলনায় অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করার ইচ্ছা পোষণ করেন। ফ্লোরিডায় বক্তব্য দেওয়ার সময়, তিনি সেমিকন্ডাক্টর, ফার্মাসিউটিক্যালস, স্টিল, কপার এবং অ্যালুমিনিয়ামসহ নির্দিষ্ট সেক্টরগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অনেক ট্রেডার স্টক মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার প্রত্যাশা করছেন, বর্তমান দরপতনকে কেনার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, জানুয়ারি জুড়ে নতুন শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আলোচনাগুলো এখনও বাস্তবায়িত হয়নি, যা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর চাহিদাকে ধরে রেখেছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা মাসিক ভিত্তিতে 2–5% করে ধীরে ধীরে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা বিবেচনা করছেন।