empty
 
 
22.01.2025 08:32 AM
২২ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার, প্রাথমিকভাবে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়, তারপর মূল্য বিপরীতমুখী হয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইউরোর তুলনায় ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে আরও বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাবক ছিল। গতকাল সকালে, যুক্তরাজ্য বেকারত্ব, বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা, এবং মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যদিও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, তবে অন্য দুটি প্রতিবেদনের ফলাফল পাউন্ডের জন্য অনুকূল ছিল। দেশটির মজুরির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। ফলস্বরূপ, মঙ্গলবার পাউন্ডের ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সিগন্যাল পাওয়া যায়নি, তবে এর প্রয়োজনও ছিল না। ৩.৫ মাসব্যাপী দরপতনের পর এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে একটি কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং কারেকশনের ক্ষেত্রে সাধারণত মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না। ট্রেন্ডলাইন এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে, যা এই কারেকশনটি অব্যাহত থাকতে পারে এটি নির্দেশ করে। তবে, আমরা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির আশা করছি না, এবং এটি নতুন ট্রেডারদের বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে বর্তমান মুভমেন্টটি একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবারের ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়, যদিও সেগুলো খুব বেশি নির্ভরযোগ্য ছিল না। রাতের বেলায়, মূল্য 1.2245-1.2255 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে, যা নতুনভাবে চিহ্নিত একটি জোন। তবে, বেশিরভাগ ট্রেডার সম্ভবত এই সিগন্যাল কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর, মূল্য উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় করে একই এরিয়ায় আরেকটি বাই সিগন্যাল গঠন করে, তবে এই সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হয়। যদিও যারা লং পজিশন ওপেন করেছিলেন তারা কিছুটা লাভ করতে পেরেছেন, তবুও এই পরিস্থিতিতে এই পেয়ার ক্রয় করা সবচেয়ে স্পষ্ট বা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, যা মূলত একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা দেখতে পাওয়ার প্রত্যাশা বজায় রাখছি, এবং মূল্য 1.1800-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাবে, যেটি আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি। তাই, আমরা এই পেয়ারের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, এবং বর্তমান কারেকশনের সমাপ্তি চিহ্নিত করতে ট্রেন্ডলাইনটি মূল নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।

বুধবার, সম্ভবত আরও স্থিরভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনে ফিরে আসতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং বিবেচনা করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। বুধবার যুক্তরাজ্যে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্ধারিত অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই। আমাদের বিশ্বাস, আজ ডলার শক্তিশালী হতে পারে, কারণ সোমবার এবং মঙ্গলবার পরিলক্ষিত ডলারের দরপতন অযৌক্তিক এবং অপ্রয়োজনীয় ছিল।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.