আরও দেখুন
শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি প্রদর্শন করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখন মার্কেটে মুভমেন্টের মূল প্রভাবক নয়। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কোনটাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আজ যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান এবং যুক্তরাষ্ট্র শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ অনুমোদন এবং নতুন আবাসন বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর কোনোটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয়, তবে আমরা মার্কেটে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। তবে, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতির বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে হয় না।
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জোয়াকিম নাগেলের (বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট) ভাষণ। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না বা কোন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট: তারা কোনো বিরতি বা ব্যাঘাত ছাড়াই আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের অব্যাহত রাখবে। সুতরাং, নাগেলের কাছ থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে না যা আজ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আমরা মার্কেটে মাঝারি মাত্রার মুভমেন্টের আশা করতে পারি, কারণ আজ কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রতিবেদন হবে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত তথ্য এবং যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন। এই সপ্তাহের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের আলোকে, সম্ভাবনা রয়েছে যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে, আজকের ট্রেডিং সিদ্ধান্তগুলো মূলত প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।