আরও দেখুন
দুপুরে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে যায় তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.2184 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছে। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রি করা থেকে বিরত ছিলাম। এই রেঞ্জের দ্বিতীয় টেস্টটি ঘটার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুসারে এই পেয়ার কেনার সুযোগ দেয়। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য ৫০ পিপসের বেশি বৃদ্ধি পায়।
গতকাল যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল পাউন্ডের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল কারণে এই পেয়ারের বড় ধরনের সেল-অফ এড়ানো সম্ভব হয়। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল কারণে পাউন্ড, বিশেষ করে ডলারের বিপরীতে, অস্থিরতার শিকার হয়েছে। এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকে, যা উভয় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারে।
আজ যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এটি পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি এই সূচকটি, বিশেষ করে জ্বালানির ব্যয় বিবেচনা করে, হ্রাস পায়, তবে এটি ভোক্তা চাহিদার দুর্বলতার ইঙ্গিত দেবে এবং অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে। এই ধরনের ফলাফল পাউন্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং মার্কেটে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, ইতিবাচক ফলাফল GBP/USD পেয়ারকে এই সপ্তাহে প্রতিষ্ঠিত হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2294-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2252-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2294-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2220-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2252 এবং 1.2294-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2220-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2185-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2252-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা1.2220 এবং 1.2185-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।